বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজশাহীতে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৬টি মামলায় ১ হাজার ২৭১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরীতে ৩৫টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১১টি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া গত দুই থেকে তিন দিনে আরো নতুন মামলা এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অন্তত দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হবে এবারও। পেটোয়া বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে দেশের জনগণ এবারো ভোটকেন্দ্রে যাবে না। আর যে নির্বাচনে ভোটার থাকে না, সেটি নির্বাচন নয়। এবারো নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া কোনো ভোটার পাওয়া যাবে না।
বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের নামে পুলিশের মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর এবং পরিবারের লোকজনের সাথে অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে রাজশাহী মহানগরী ও জেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ও গ্রেফতারের তথ্য তুলে ধরেন মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজশাহীতে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৬টি মামলায় ১ হাজার ২৭১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরীতে ৩৫টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১১টি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া গত দুই থেকে তিন দিনে আরো নতুন মামলা এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অন্তত দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, মহানগরী ও জেলায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। অবিলম্বে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি।
এ সময় বিএনপি নেতা মিনু বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে রাজশাহী মহানগরী, জেলাসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের বিনাকারণে গ্রেফতার করে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ, রাজপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহ মুখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন প্রমুখ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।