আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনী এলাকা নিয়ে সমন্বয় করেছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলে জোট গঠনের প্রয়োজন ছিল না। জাপা আওয়ামী লীগের কাছে সমর্থন চেয়েছিল। তাই তারা (আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি) ২৬টি আসনে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। বাকি আসনে জাপা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কথাগুলো বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনে ৩৫৭ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ১ হাজার ৮৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (নজরুল ইসলাম খান) দাবি করেছেন, সোমবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে কে হচ্ছেন এমপি। এমন ভাগাভাগি ও বণ্টনের মাধ্যমে নির্বাচন সম্ভব হয়েছিল বিএনপির আমলে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ ও হুদা ছাড়া কোনো প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তিনি (নজরুল ইসলাম খান) এখন ভবিষ্যদ্বাণীতে পরিণত হয়েছেন। তিনি যদি এতটুকু ভবিষ্যতবাণী করতে পারেন, তাহলে তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন এবং বিচারের মুখোমুখি হবেন তা তার ভবিষ্যদ্বাণী করা উচিত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শপরাণ (র.) এর মাজারে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে প্রথম দলীয় সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন। ২৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারও উন্মোচন করবেন।
কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্য সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তার (আব্দুর রাজ্জাকের) ব্যক্তিগত বক্তব্য। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া দল নয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে এমন অদ্ভুত প্রস্তাব দেবে এটা ঠিক নয়। সরকার বা দল কেউই এমন কোনো প্রস্তাব দেয়নি।’
বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মী কারাগারের আড়ালে থাকার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমরা স্বীকার করি না। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর যারা পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
সংসদ ভেঙে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বিএনপির এজেন্ট।
তিনি বলেন, ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও এই বুদ্ধিজীবীরা নির্বাচনকে একতরফা বলছেন।
তিনি বলেন, দেশে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে, রেললাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, আদালত বাড়িতে হামলা করা হয়েছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিক নীরব কেন, এমন প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।