মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৃধাবাড়ি মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী (৫০), ভ্যান চালক সোহেল হোসেন (৩৫), ইয়াদুল হক (৩২), ইয়াকুব সরদার (৩৬), সাইদুর রহমান (৩৪) প্রমুখ। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের পক্ষে ঈগল মার্কার মিছিল বের করেন তার কর্মীসমর্থকরা। এ সময় নৌকার প্রার্থীর লোকজন বাঁধা দেয়। পরে মিছিলে হঠাৎ অর্ধশত হাতবোমা নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হাতবোমায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা করছিলাম। এ সময় হঠাৎ হামলা করেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকার সমর্থক ফজলুল হক বেপারী ও তার লোকজন। এ সময় তারা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে আমরা কয়েকজন আহত হয়েছি।
অপরদিকে নৌকার সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন বোমা মেরে নিজেরাই আহত হয়েছে। আমরা শুধু প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।