৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রবিবার, দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক শহরের জ্যাকসন হাইটসে অবস্থিত নবান্ন রেস্তারাঁর সভাকক্ষে নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক অয়োজিত “দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা” শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সময় কিংবা তৎপরবর্তীকালে ২০০১ সালের অক্টোবর মাসের মত সম্ভাব্য সংখ্যালঘু বিরোধী সন্ত্রাস ঠেকানো এবং ত্বারিৎ গতিতে মোকাবেলার জন্য অগ্রীম ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ।
সংগঠেনের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক নবেন্দু দত্তের সভাপতিত্তে এবং সাধারণ সম্পাদক ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্যের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত লক্ষ লক্ষ শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে, এবং সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের জন্য কৃকজ্ঞতা প্রকাশ করে, অধ্যাপক নবেন্দু দত্তের স্বাগতিক বক্তব্যের পর সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিষ্ণু গোপ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মঞ্চে উপবিষ্টদের মধ্যে নবেন্দু দত্ত, শিতাংশু গুহ, ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য, রীণা সাহা, ও ডক্টর দিলীপ নাথ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উত্তরদাতারা বলেন যে এই সমস্যা মোকাবেলা করার সর্বোত্তম পথ হচ্ছে এই মুহূর্ত্তে দেশের নির্বাচন কমিশনারের উচিৎ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, সকল রাজনৈতিক দলের প্রধান, ও সচেতন নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে সম্ভাব্য সংখ্যালঘূ বিরোধী সন্ত্রাসী আক্রমণ ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া, এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটা ত্বরিৎ গতিতে মোকাবেলার মূল দাযিত্বটা র্যাব, বি. জি. বি., ও সেনাবাহিনীর ওপর ন্যাস্ত করা।
কীভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের স্থায়ী সমাধান হতে পারে এই মর্মে সাংবাদিকদরে প্রশ্নের উত্তরে একাধিক উত্তরদাতা বলেন যে, এটা নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর – সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রের মত হেইট ক্রাইম ও স্পীচ আইন অন্তর্ভুক্ত করে একটি কঠোর মইনোরিটি এ্যক্ট প্রনয়ণ করে এবং সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে, তা’হলে সামপ্রদায়িক শক্তি সংখ্যালঘু নাগরিকদের নির্যাতন করার দু:সাহস করবে না। তাঁরা বলেন এটা সম্ভব হতে পারে শুধু যদি প্রগতিশীল মুসলমানরা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্ঠি করেন, যেমন প্রগতিশীল শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করছেন।