সত্যের চিরন্তন শিখা বুকে গেঁথে রাখে প্রতিটি মু’মিন মুসলমান। মুসলমানদের ধর্মীয় বিধানকে অনুসরণ করে অনেক বিধর্মীও সত্যের পথে অবগাহন করেছেন। সত্য সাফল্য আর মিথ্যা ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতারণা-প্রবঞ্চনা ইত্যাদি বিষয় শয়তানের মূলমন্ত্র। পক্ষান্তরে স্বচ্ছ লেনদেন আর সঠিক বেচাকেনায় মুসলমানদের শান্তি নিহিত।
রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয় বা প্রতারণা করে সে আমাদের (মুসলিমদের) অন্তর্ভুক্ত নয়। (মুসলিম)
আর যারা মাপে কম দেয়, তাদের বিষয়ে বলা হয়েছে- যারা মাপে কম করে, তাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ, যারা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয় তখন পূর্ণমাত্রায় নেয় এবং যখন লোকদেরকে মেপে দেয় কিংবা ওজন করে দেয়, তখন কম করে দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে, সেই মহা দিনে যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্বপালনকর্তার সামনে। এটি কিছুতেই উচিত নয়, নিশ্চয়ই পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জিনে আছে। (সূরা মুতাফফিফিন : ১-৭)
মূলত যার হক নষ্ট করা হচ্ছে তার সাথেই সমঝোতা করতে হবে। ধোঁকা-প্রতারণায় মানুষের হক নষ্ট করার যথাযথ সমাধানে ব্যর্থ হলে পরকালে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। পরকালে বিচারের দিন মহান আল্লাহ ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ধোঁকা বা প্রতারণাকারীদের নেকিগুলো যার সাথে ধোঁকা দেয়া বা প্রতারণা করা হয়েছে তাকে দিয়ে দিতে বলবেন। এখানেই শেষ নয়, প্রতারিত ব্যক্তির গুনাহগুলো ধোঁকাবাজ-প্রতারকের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হবে। সুতরাং ধোঁকাবাজ-প্রতারক হয়ে পড়বে আমলহীন-নিঃস্ব। অবশেষে প্রতারক ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। মনে রাখতে হবে, ধোঁকা বা প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে দান-সহযোগিতা, ধর্মীয় কাজ- কোরবানি, মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ, জনসাধারণের জন্য রাস্তাঘাট- কালভার্ট নির্মাণ কোনোটিই বৈধ নয়। আর এতে করে প্রতারকের কাজে কোনো সওয়াবও মিলবে না।
লেখক :
শিক্ষার্থী, জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া, বসিলা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা