দুর্নীতি দমন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নাসির হোসেনকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আইসিসি এক বিবৃতিতে নাসির হোসেনের শাস্তি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে- ঘটনাটি মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগকে কেন্দ্র করে। ২০২০-২১ আসরে ঘটা এই কাণ্ডের জন্য নাসিরসহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তারা সবাই পুনে ডেভিলস ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে সংশ্লিষ্ট।
যারা অভিযুক্তদের প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন তারা আকসুর তালিকায় থাকা শীর্ষ ও পরিচিত অপরাধী। তারা ডেভিলস ক্যাম্পে ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তনে প্রভাব রাখার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত যদিও তাদের সব অপচেষ্টা আকসুর কারণে ভেস্তে গেছে।
সেবার নাসির পুনের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ই পুনে শেষবার টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে ২০১৮ সালে সর্বশেষ খেলা নাসির ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন- যৌথ মালিক কৃষান কুমার চৌধুরী এবং পারাগ সাংভি, দুজন ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ ও সালিয়া সামান, ব্যাটিং কোচ আসার জাইদি, সহকারী কোচ সানি ঢিলন, টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদ।
অভিযুক্তদের মধ্যে হাই প্রোফাইল নামটি ছিল ৩১ বছর বয়সী নাসির। তার বিরুদ্ধে আনা অন্যতম অভিযোগটি হলো ৭৫০ মার্কিন ডলারের উপহার পেয়েও সেটির বিষয়ে আকসুকে কিছুই জানাননি তিনি।
যৌথ মালিক সাংভির বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ ছিল ম্যাচের ফলের ওপর বাজি ধরার চেষ্টা। জাইদি, জাভেদ ও ঢিলনের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগটি ছিল ম্যাচ পাতানোর।
অভিযুক্তদের মধ্যে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও টিম ম্যানেজার শাদাব ছাড়া বাকি ৬ জনকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একই সময়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুজনকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা পেলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের জার্সিতে ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্তু ১১৫ ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ৩৯ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি করেছেন ২৬৯৫ রান।
তারপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন নাসির। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে।
নাসির আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবেন ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে।