ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি ডুবে গেছে। বুধবার সকালে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ধরে আস্তে আস্তে ডুবে যায় ফেরিটি।
আরিচা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মো: মুজিবুর রহমান জানান, সকাল সোয়া আটটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ফেরিতে ৯টি কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ছিল।
আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মানিকগঞ্জ ও ঢাকার সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করেছে বলে আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডিউটি অফিসার সৈয়দ আশরাফুর রহমান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া সারেংয়ের একজন সহকারী এখনো নিখোঁজ আছে বলে মানিকগঞ্জ ফায়ার জোনের উপ-সহকারী আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন।
আরিচা ঘাট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসে রজনীগন্ধা ফেরিটি। ভোর রাতে মানিকগঞ্জের আরিচা প্রান্তে পৌঁছালেও ঘন কুয়াশায় পথ দেখতে না পাওয়ায় মাঝ নদীতে অনেকক্ষণ নোঙ্গর করে ছিল ফেরিটি।
সকালের কিছুটা কুয়াশা কাটলে তীরে ভেড়ার চেষ্টা করে ফেরিটি। তখন পাশ থেকে যাওয়া একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে ফেরিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, মূলত ঘন কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ফেরিটি ছেড়ে আসার সময় এতে বেশকিছু যানবাবহন ছিল। যার মধ্যে বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক।
তবে, নিজস্ব ক্রু ও যানবাহনসহ ফেরিটিতে ঠিক কতজন ছিল সেই তথ্য কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরিটি উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের উদ্ধারকারী দল। সকাল আটটায় দুর্ঘটনার পর সাড়ে ৯টায় পুরোপুরি ডুবে যায় ফেরিটি।
এর আগ পর্যন্ত কিছুটা অংশ পানির ওপরে দেখা যাচ্ছিলো বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটেই ডুবে যায় আমানত শাহ নামের একটি ফেরি।