নিউ ইয়র্ক রাজ্য থেকেই ২০২৩ সালে ৩৮৬ মিলিয়ন প্রাণঘাতী ফেন্টানিল ডোজ উদ্ধার করা হয়েছে। এটাই ফেন্টানিল ডোজ উদ্ধারের এযাবতকালের রেকর্ড। আর এই ডোজগুলো সব আমেরিকানকে হত্যার জন্য যথেষ্ট।
জব্দ করা ড্রাগের মধ্যে প্রায় ১০ ভাগ অন্য ওষুধের নামে পিল ও পাওডার হিসেবে বাজারজাত করা হচ্ছিল। বাকিগুলো ফেন্টানিল নামেই বিক্রির চেষ্টা ছিল বলে ফেডারেল অ্যাজেন্সি ডিইএর নিউ ইয়র্ক শাখা জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, প্রায় ১২ হাজার পাউন্ড ফেন্টানিল পাওডার এবং ৭৭ মিলিয়ন সম্ভাব্য পিল জব্দ করা হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে জব্দের হার বেড়েছে ১১৯ ভাগ।
কোনো মানুষকে মারার জন্য মাত্র দুই মিলিগ্রাম (যা একটি পেন্সিলের ডগার সমান) ফেন্টানিলই যথেষ্ট।
ডিইএ জানিয়েছে, প্রায় ৪.২ মিলিয়ন পিল এবং ১,১০০ পাউন্ড পাওডার অন্য ওষুধের ছদ্মাবরণে ছিল। অনেক সময় প্রেসক্রিশন ওষুধের নামেও এসব ড্রাগ বিক্রি হয়েছে।
উল্লেথ্য. ২০২২ সালে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ডসংখ্যক হাইস্কুলে কিশোর ড্রাগে মারা গেছে। প্রধানত ফেন্টানিল বিষ মেশানো ভুয়া পিল খেয়ে তারা মারা গেছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সে যেসব আমেরিকান মারা যায়, তার অন্যতম কারণ ফেন্টানিলের ওভারডোজ।
নিউ ইয়র্ক সিটির ফেন্টানিলের সবচেয়ে বড় চালানটি ধরা পড়ে অক্টোবরে। ব্রনক্সের একটি মিলে ডিইএ ৫০ পাউন্ড পাওডার ফেন্টানিল এবং দুই লাখ পিল জব্দ করা হয়। এটাই নিউ ইয়র্কে এ যাবতকালের বৃহত্তম মাদক আটকের ঘটনা।
এর এক মাস পর একটি ডে কেয়ার সেন্টারে গোপন ড্রাগ মিল আবিষ্কৃত হয়। প্লেরুমে এক বছরের একটি শিশু প্রাণঘাতী এই ড্রাগ গ্রহণ করার পর মারা যাওয়ার পর বিষয়টি জানা যায়।
২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ড্রাগ বিষে এক লাখ ১২ হাজার ৩০০-এর বেশি আমেরিকান মারা গেছে। এর প্রায় ৭০ ভাগ হয়েছে ফেন্টানিলের প্রভাবে।
নিউ ইয়র্কে ২০২৩ সালে ড্রাগ পয়েজনিংয়ে মারা গেছে প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তি। এর প্রায় অর্ধে হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে।
নিউ ইয়র্ক ডিইএ আরো দেখেছে যে মেথাফেটামিন আটক বেড়েছে ২৭০ ভাগ, মেথাফেটামিন পিল জব্দ বেড়েছে ৩০৭ ভাগ, কোকেন জব্দ বেড়েছে ৫৫ ভাগ।
এছাড়া ২০২৩ সালে ওমাহা, নেব্রাস্কা ও কানসাস সিটি, মিসৌরিতেও রেকর্ড পরিমাণ ফেন্টানিল জব্দ করা হয়েছে।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট