জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। শিগগিরই তাকে আদালতে তোলা হবে।’
আবদুল মাজেদ ভারতে পালিয়ে আছেন বলে এর আগে বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাকে বাংলাদেশেই পেয়েছি। হয়তো করোনার ভয়ে চলে এসেছে।’
তবে এ বিষয়ে এর বাইরে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শিগগিরই ব্রিফ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিস) ইউনিটের একটি বিশেষ দল মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।
আসামিরা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় আছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
এদিকে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়। এ ছাড়া রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।