ফিলিস্তিনে হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইসরায়েলকে একের পর এক অস্ত্রের চালান দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। এবার দেশটি থেকে আরও ভয়ংকর যুদ্ধবিমান-বিস্ফোরক পাচ্ছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আলজজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এইল জামির ওয়াশিংটন সফর করেছেন। ওই সফরে তিনি দেশটির কাছে গাজায় হামলার জন্য উচ্চস্তরের নতুন স্কোয়াড্রন বিমান, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান, আক্রমণাত্বক হেলিকপ্টারসহ বিস্ফোরক চেয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেলআবিব নতুন করে ২৫টি এফ৩৫আই যুদ্ধবিমানের বহর, ২৫টি এফ-১৫আইএ যুদ্ধবিমান এবং ১২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের বহর যোগ করতে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এসব সামরিক চালান পেতে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইসরায়েল এখন এসব দ্রুত হাতে পেতে তড়িঘড়ি করছে। যদিও টাইমস অব ইসরায়েল সংবাদমাধ্যমটির এ দাবি যাচাই করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির হামলার পর থেকেই তাদের পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে দেশটিকে জরুরি অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন জানান, কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এ চালানে ইসরায়েলের জন্য ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের সমরাস্ত্র বরাদ্দ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলের ট্যাংকে ব্যবহারের জন্য জরুরি সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের ১৪ হাজার গোলা সহায়তা দেওয়া হয়। ওই সময়ে ব্লিংকেন জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ মুহূর্তে দেশটির জন্য এ সহায়তা জরুরি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেসের পর্যালোচনা ও অনুমোদানের জন্য অপেক্ষা করলে তা অনেক বিলম্ব হত। এর ফলে ইসরায়েল সংকটে পড়ত বলেও জানান তিনি। সূত্র : কালবেলা।