বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ নিয়ে সুর পাল্টালেন স্ত্রী ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানালেন মির্জা ফখরুল ভারত থেকে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি কিসের আলামত, প্রশ্ন রিজভীর আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৬ : প্রেস উইং চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ রয়টার্সের মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানালো সিএমপি হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান

ড. ইউনূসের মামলা কেন্দ্র করে দেশের মর্যাদা হেয় করার ষড়যন্ত্র চলছে: আইনমন্ত্রী

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৯ বার

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মামলা কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে দেশের আদালত, বিচার বিভাগ, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা চলছে। সাবজুডিস বিষয়ে আমি কথা বলি না। তবে দেশের মর্যাদার প্রশ্নে আজ তা করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘দেশকে হেয় করার জন্য ও ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্র চলছে, যা করা হচ্ছে তা দেশকে পরাজিত করানোর জন্য। যারা বিদেশ থেকে বিচারকাজ দেখতে আসতে চায়, তাদের তো আরও আগে আসা উচিত ছিল। এখন দেখার কিছু নেই। তার পরও আপিল বিভাগে এখন যে কার্যক্রম চলবে তা যে কেউ দেখতে পারেন।’

বিশ্বজুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন বলে জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বলা হচ্ছে— সরকার হয়রানি করছে ও শ্রমিকরা মামলা করেনি। অথচ ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিকরা বলে আসছে অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে ও ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্র্য দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের মামলা ও আশ্বাসের পরও ন্যায্যপ্রাপ্তি না দেওয়ায় শ্রম অধিদপ্তর মামলা করেছিল। তাদের সব দেওয়ার আশ্বাসের পর মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। মানে অপরাধ স্বীকৃত।

আনিসুল হক বলেন, সব পক্ষ স্বীকার করেছে যে শ্রমিকরা ন্যায্যপ্রাপ্য পাচ্ছিলেন না। যতবার সময় চেয়েছেন ড. ইউনূস সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে দুপক্ষের আইনজীবী। সব ধারা বিশ্লেষণ করে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশ থেকে দূর হওয়া দরকার।

শ্রম আদালত ২২ হাজার পেন্ডিং মামলা রয়েছে, সেখানে এ মামলা এতো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আইনের ব্যত্যয় করে কিছু করা হয়নি। সাধারণ মানুষ এসব মামলার ট্রায়াল দ্রুত দেখতে চায়।

আইনমন্ত্রী বলেন, সব অকাঠ্য প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে সরকার হয়রানি করছে। আমি বলতে চাই— সরকার কোনো মামলা দিচ্ছে না। দেশের শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন শ্রম দপ্তরের পরিদর্শক ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করে সমস্যা দেখতে পান। এর পর ২০২১ সালের ১ মার্চ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির জবাব যুক্তিযুক্ত না হওয়ায় ওই বছরের ১ আগস্ট আবারও গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করা হয়। ওই মাসের ১৯ তারিখে আবার আইন লঙ্ঘনের চিঠি দেওয়া হয়। ওই বছরের ৯ অক্টোবর চিঠির জবাবের প্রেক্ষিতে ৩০৩/ঙ ও ৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com