নিউইয়র্কে এক সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশী হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল ও তার স্ত্রী সাথী আহমেদ নিহত হয়েছেন। সিটি থেকে সড়ক পথে আপষ্টেটের বিংহ্যামটন যাওয়ার পথে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১০টার দিকে তারা দূর্ঘটনার শিকার হন এবং স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দূর্ঘটনায় তাদের এক কন্যা গুরুতর আহত হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। নিহত হাফিজের দেশের বাড়ী কুমিল্লা আর সাথীর বাড়ী বরিশাল। দূঘর্টনায় বাংলাদেশী দম্পতির নিহতের ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর ইউএনএ’র।
ইয়েলো সোসাইটি নিউইয়র্ক’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল ভূইয়া জানান, হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল তাদের সংগঠনের সদস্য। গত দুই বছর ধরে তিনি ইউএস আর্মীতে (নন ইউনিফর্ম) কর্মরত ছিলেন। নিউইয়র্ক সিটি থেকে বিংহ্যামটন যাওয়ার পথে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওরেঞ্জ কাউন্টির উডভেরীর ছয় নম্বর রোডে একটি দ্রুতগামী গাড়ী তাদের গাড়ীতে অঘাত করলে মারাত্বক দূর্ঘটনটি ঘটে। এসময় তাদের গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে তারা স্বামী-স্ত্রী দূর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাদের কন্যা রাইদা আহমেদ (৭) ওয়েষ্টচেষ্টার মেডিক্যাল সেন্টারে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার শরীরের ৫টি হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে।এদিকে নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশের বরাতে এক খবরে বলা হয়েছে, একটি গাড়িকে তাড়া করছিলেন পুলিশ। এসময় ওই গাড়িটি অ্যাঞ্জেলের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই গাড়িটির চালককে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) পোস্ট মর্টেম শেষে তাদের মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।নিহত হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল ও সাথী আহমেদ দম্পতির ১৯ বছর বয়সী আরেক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বিংহ্যাটনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। সেখানে ক্রয় করা বাড়ীতে যাওয়ার পথে কন্যা সহ তারা দূর্ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশী দম্পতির মৃত্যুতে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাকের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ইয়েলো সোসাইটি নিউইয়র্কের সভাপতি শেখ ইলিয়াস হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।