জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মানাঙ্গাগওয়ারের কর্মকাণ্ডের কারণে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যায়নি তার স্ত্রীও। এছাড়া দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন সরকার বলেছে যে- জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী কিছু ব্যক্তি এবং কোম্পানির জঘন্য আচরণ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং দুর্নীতিবাজতাদের কর্মের সাথে মিলে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত করেছে যে- ‘এসব ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জিম্বাবুয়ে বা এর জনসাধারণের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিনিধিত্ব করে না।’
যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১৯৯০ -এর দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সেসময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
মূলত তাদেরকে দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ বিভিন্ন দেশ জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়েতে ‘বহু অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন এবং বেআইনি হত্যার ঘটনা’ উল্লেখ করেছেন যা মানুষকে ‘চরম শঙ্কার’ মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি ও সিএএনএন