দুই ধরনের খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া এক চিঠিতে দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকদের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে।
চিঠিতে, অতি সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা, বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে খেজুর বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
এর আগে খেজুরের অতিরিক্ত দাম নিয়ে আজ করা প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যে খেজুরটা খায়, সেটা ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে রাখতে বলেছি। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিও দিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে আজকের মধ্যে এটা প্রকাশ করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে আমাদের কথা বলার দরকার নেই। এটা যার যার ব্যাপার। যে যেটা দিয়ে ইচ্ছা ইফতার করবেন। আমাদের চেষ্টা, বস্তার খেজুরটার শুল্ক কমানো হয়েছে। আমরা উঁচু জাতের দামি খেজুরের শুল্ক কমাইনি। সাধারণ মানুষ যেটা খায়, সেটার দাম কমাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’