বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সব খাবার চিড়া, মুড়ি, মোয়া, গুড়। চিরাচরিত বাঙালীর এসব খাবার দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে নিউইয়র্কেই প্রস্তুত হচ্ছে এসব খাবার। ‘মিনা ফুডস’ নামক বাংলাদেশী মালিকানাধীন এক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বদৌলতে এখন নিউইয়র্কের বড় বড় শপিংমলেও মিলছে বাঙালী এসব খাবার। আবার কেউ চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকেও এসব খাবার অর্ডার করা যাবে। নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে গত ৪ মার্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট রিফাতি ফারুক এবং সিইও মেহবুব সরকার কোয়েল। সংবাদ সম্মেলনে মিনা ফুডস প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালে কেবল ৫ জন কর্মচারী নিয়ে মিনা ফুডস প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। প্রথম দিকে শেয়ার্ড কমার্শিয়াল কিচেনে ৩ দিনের জন্য পাঁচটি আইটেম প্রস্তুত করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৩ বছর। এ যাত্রায় প্রতিষ্ঠানটি এখন আরও পরিণত আরও সমৃদ্ধ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০টির অধিক পণ্য রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই বাঙালীর ঐতিহ্যকে ধারণ করে। অন্যভাবে বললে এসব খাবারের জন্মই বাংলাদেশে!
সংবাদ সম্মেলনে রিফাতি ফারুক বলেন, আমরা প্রায়ই বিদেশি খাবারের সাথে পরিচিত হই। আমাদের দেশেও বিদেশি খাবারের প্রচলন আছে। আমরা চেয়েছি ভিনদেশিরে ডাইনিং টেবিলে আমাদের দেশিয় খাবার পৌঁছে দিতে। আজকে আমাদের প্রতিষ্ঠান অনেক বড়। আমেদের বেশ কিছু চাটনি ঐতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। আমরা এর সংখ্যা আরও বাড়াতে কাজ করছি। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাঙালি খাবারগুলো বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া। আসন্ন রোজায় আমরা ঢাকার চকবাজারের বিখ্যাত জিলাপি প্রস্তুতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এছাড়া আমাদের চনাচুর, ঝালমুড়ি, রুটি, কেক, ঘি, মধু, খাজা ইতিমধ্যে বেশ সমাদৃত হয়েছে।
মেহবুব সরকার কোয়েল বলেন, আমরা যাত্রা শুরু করি দেশিয় খাবারের প্রতি নিজেদের আবেগ এবং ভালোবাসার জায়গা থেকে। বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ সকলের কাছে শ্রেষ্ঠ মানের খাদ্য পণ্যে পৌঁছে দিতে আমাদের টিম নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মিনা ফুডস-এ আমাদের লক্ষ্য শুধু খাবার বানানো বা বাজারজাত করা নয়, আমরা চেষ্টা করি এই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সাথে সংযোগ গড়ে তোলা এবং আমাদের বাংলাদেশী খাবারের পণ্যের মাধ্যমে নিজেদের সংস্কৃতিকে উদযাপন করা। মিনা ফুডস সব সময়ই খাবারের গুণমানের প্রতি সতর্ক থেকেছে এবংভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা সামনে ইনোভেশন এবং স্থায়িত্বের প্রতি আরও জোর দেব।
মেহবুব সরকার কোয়েল আরো বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে আমরা এখন এক আস্থার নাম। বর্তমানের মতো আগামীতেও গ্রাহকদের সমর্থন অব্যাহত থাকলে মিনা ফুডস আরও উন্নতি করবে এবং বাংলাদেশী খাদ্য শিল্পে একটি দীর্ঘস্থায়ী সুপ্রভাব ফেলবে।