সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধার করতে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তবে জাহাজটি উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছে মালিকপক্ষ।
সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বাংলাদেশি জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, জাহাজ উদ্ধারের চেয়ে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিক কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে আগেও সরকার থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নৌবাহিনীর কাছে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ১৪ মার্চ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। তবে বাংলাদেশ সরকার তাতে সম্মতি দেয়নি বলে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনায় জানিয়েছেন মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম। তিনি বলেন, নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি সরকার ও মালিকপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে। জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করা রয়েছে।
বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই হওয়ার পর একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার টহল জাহাজ মোতায়েন করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়া পর্যন্ত সেটির কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়ে অনুসরণ করেছিল ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ।
এর মধ্যেই গত শনিবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করেন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। তার দুই দিনের মাথায় সোমবার পান্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, এমভি আবদুল্লাহকে দখল করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে পান্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, আন্তর্জাতিক নৌ সেনারা জলদস্যুদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন বলে খবর পাওয়ার পর প্রস্তুত রয়েছেন তারা। এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেনি ভারতীয় নৌবাহিনী।