বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে আইনমন্ত্রী, ‘আমি আবেদনটি (খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে করা) পড়েছি, কিন্তু আমি বিষয়টি নিয়ে এখনো আমার মতামত দেইনি। ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আজকে আমার সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবারের সদস্যরা) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতি সত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল নাগাদ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে। তবে একটা বিষয় বলতে পারি সেটা হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।’
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।