নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস তার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ আবারো অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ওই ঘটনা ঘটেনি।’ ১৯৯৩ সালে এক সহকর্মীকে তিনি যৌন হেনস্তা করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগকারী লরনা বিচ-মাথুরা অ্যাডাল্ট সারভাইভার্স অ্যাক্টের আওতায় ওই মালা করেন। নিউইয়র্কের এই নতুন আইনের আওতায় যৌন হামলার ক্ষেত্রে ঘটনায় স্বাভাবিক সময়ের পরও মামলা করা যায়।
বর্তমানে ৬৩ বছর বয়স্ক মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি পুরোপুরি খোলাসা করে বলছি, এমনটা ঘটেনি। কাজটি আমি করিনি।’
মামলায় বলা হয়েছে, অ্যাডামস বিচ-মাথুরাকে চাকরি প্রদানের কথা বলে ফাঁকা স্থানে নিয়ে গিয়ে ‘তার কাছে ওরাল সেক্সের অনুরোধ’ করেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলে অ্যাডামস নাকি জোর করে বিচ-মাথুরার হাতটি অ্যাডামসের উত্থিত লিঙ্গকে ধরিয়ে দেন। বিচ-মাথুরা তার হাত সরিয়ে নিলে অ্যাডামস তার কথা চিন্তা করে হস্তমৈথুন করেন।
তিনি বলেন, আমাকে অনেক বছর ধরে চেনে, এমন অনেকে এখানে আছেন। আমি বছর পাঁচের কথা বলছি না। আমি ৩৫-৪০ বছরের কথা বলছি। তারা আমার চরিত্র জানে। আমি আমার চরিত্র জানি।’
তিনি বলেন, তিনি আদালতে তার অবস্থান প্রমাণ করতে পারবেন।
আর নিউইয়র্ক সিটি করপোরেশনের কাউন্সেল সিলভিয়া ও হিন্ডস-র্যাডিক্স ১০১০ উইন্সকে বলেন, ‘তাছাড়া ১৯৯৩ সালে এরিক অ্যাডামস ছিলেন নিউইয়র্ক পুলিশের মধ্যে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার ব্যক্তিত্ব। ফলে এ ধরনের অভিযোগ আসা আশ্চর্যের ব্যাপার।’
অ্যাডামসের বিরুদ্ধে বিচ-মাথুরা বলপ্রয়োগ, যৌন হেনস্তা, জেন্ডার বৈষম্য, প্রতিশোধ গ্রহণ, আগেবগতভাবে আঘাত হানা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।
এফবিআই যখন অ্যাডামসের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি অভিযোগ তদন্ত করছে, তখন এই অভিযোগ উত্থাপিত হলো। এফবিআই ওই তদন্তকাজে ইতোমধ্যেই তার ফোন জব্দ করেছে এবং তার প্রধান ক্যাম্পেইন ফান্ডরাইজারের বাসায় অভিযান চালিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, তিনি তুর্কি সরকারকে ২০২১ সালে ৩৫ তলাবিশিষ্ট একটি হাউজিং ডিপ্লোমেটিক স্থাপনা খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন, যদিও টাওয়ারের অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল।
অ্যাডামস এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি অন্যায় কিছু করেননি।