নিউইয়র্কে হাজারো বাংলাদেশির সামনে কনসাল জেনারেলের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনা হলো। আর এ অভিযোগ উত্থাপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের বৃহৎ মাদার সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির পক্ষ থেকে। রোববার ২৪ মার্চ বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া কনস্যুলার সেবা প্রদানে কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার দায়িত্বহীনতার অভিযোগ আনেন। তিনি কুইন্সের তিব্বতিয়ান কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ সোসাইটি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন। এ সময় ইফতার পার্টিতে উপস্থিত অনেককে শেম শেম বলতে শোনা যায়।
মোহাম্মদ রব মিয়া বলেন, বাংলাদেশিদের ট্যাক্সের অর্থে কনস্যুলেট পরিচালিত হয়।পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্ট , নো ভিসা ইস্যুসহ নানা কনস্যুলার সেবা দেয়া তাদের দায়িত্ব। কর্মজীবি প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মদিবসে কাজ বন্ধ করে সেবা নিতে কনস্যুলেটে যেতে পারেন না। অতীতে এ জন্য কনস্যুলার সেবা প্রদানের জন্য কুইন্স, ব্রুকলিন ও ব্রংকসে ছুটির দিনে মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প স্থাপন করতো। শতশত মানুষ সেবা নিতেন। কিন্তু নতুন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা দায়িত্বে আসার পর তা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সোসাইটি একাধিকবার তার সাথে দেখা করে কনস্যুলার সেবা প্রদানের আহবান জানায়। তিনি সহায়তার হাত বাড়াননি। সভাপতি রব মিয়া যখন এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন ইফতার পার্টিতে উপস্থিত কনস্যুলেটের কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ তা শুনছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদকে ডেকে মঞ্চে গিয়ে কিছু বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সময় অভাবে তিনি সে সুযোগ পান নি।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদক টেলিফোনে নিউইয়র্কস্থ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার দৃষ্টি আর্কষন করেন। তিনি বলেন, সভাপতি রব মিয়া জনসন্মুখে সঠিক বক্তব্য তুলে ধরেন নি। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি তাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলেছি, একই শহরের ভেতর মোবইল টিম পাঠিয়ে কনস্যুলার সেবা প্রদানে ঢাকা থেকে আসা অডিট টিম আপত্তি তুলেছে। এ ধরনের কনসুলার ক্যাম্প স্থাপনে অর্থ খরচের ব্যাপার থাকে। এতেই অডিট টিমের আপত্তি। নিউইয়র্ক সিটির বাইরে, যেমন বাফেলো, আটলান্টিক সিটি, বস্টন বা কানেকটিকাটে ক্যাম্প স্থাপনে তাদের কোন বাধা নেই। অতীতেতো সিটির ভেতর বিভিন্ন ব্যরোতে হয়েছে। এখন বন্ধ করলেন কেন? জবাবে নাজমুল হুদা বলেন, অডিট ডিপার্টমেন্টের আপত্তির করনেই। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা অডিট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনা পেলে সিটির বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টিম পাঠিয়ে কনস্যুলার সেবা আমরা দিতে পারবো।
কন্যুলেটের নাম না প্রকাশের শর্তে একজন কর্মকর্তা প্রতিবেদককে বলেন, মোবাইল টিম পাঠিয়ে আমরা যে পরিমান সার্ভিস চার্জ পাই তা খরচের চেয়ে বহুগুণে বেশি। বরং এতে বাংলাদেশ লাভবান হয়। প্রবাসীদের কাজকর্ম বাদ দিয়ে কনস্যুলেটেও ছুটতে হয় না। কিন্তু অডিটের নির্দেশে আমাদের হাত পা বাধা।