রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের ৬ জনেরই মৃত্যু

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৯ বার

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার মারা গেল শিশু সোনিয়া আক্তারও (৬)। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়।সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।

সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামা আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতেই তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। এখন সোনিয়ার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন বলেও জানান আব্দুল আজিজ।

ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির বলেন, ‘সোনিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন-ফয়জুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), তাদের বড় মেয়ে সামিয়া (১৬), মেঝো মেয়ে সাবিনা (১৩) ও ছেলে সায়েম উদ্দিন (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়জুর রহমান পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ঘরের উপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন গেছে। সেহরির আগে ও পরে ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য ফয়জুরের ছোট মেয়ে সোনিয়াও আজ মারা গেল।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com