বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবি না করে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আজকে পরীক্ষা বর্জন করেছে। কিন্তু আমরা বলেছি পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা হয়েছেও। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেউই পরীক্ষা দিতে আসেনি, তারা অনুপস্থিত ছিল। তবে তারা বর্জন না করে স্থগিতের আবেদন করলে আমরা সেটি বিবেচনা করতাম। তাদের উচিত ছিল পরীক্ষা পেছানোর দাবি করা। শিক্ষার্থীরা এখানেও ভুল করেছে।’
এই পরীক্ষা আবার নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে সেটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল, সেটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগের যে দাবি সেটি হবে না। কারণ উনার কোনো গাফলতি ছিল না।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘কোনো তদন্ত না করে যদি কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেই শাস্তি কোর্টে গেলে টিকবে না। আবার এই তদন্তের পর ছাত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দিতে হবে। সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে। নিয়মের বাইরে আমরা কিছু করতে পারব না। এজন্য একটু সময়ও প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেভাবে বলছে সকাল ৯টার মধ্যে বা ১২টার মধ্যে—এটি তো সম্ভব না।’
উপাচার্য বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ অবশ্যই অনভিপ্রেত। শিক্ষার্থীদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক। কারা ঢুকেছে ও কারা ঢুকতে সহযোগিতা করেছে, সেটি শনাক্ত করতে সময় লাগবে। আমাদের তো সেই সময় দিতে হবে। কেন সেদিন বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হলো, সেটি নিয়ে আমরা সিকিউরিটি কর্মকর্তাকে চিঠি দেব। তাদের তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
শিক্ষার্থীদের দাবির পর ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের উপাচার্য।