সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে জাহাজটি দস্যু মুক্ত হয়।
মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এদিকে আজ রবিবার জিম্মি জাহাজটির উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক রুটে জাহাজ বা বিমান চলাচলে বেশ কিছু রুলস এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা থাকে যারা এসব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ সরকার সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দুবাই যাবে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে।
তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা। এর আগে ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।