ইসরাইলে শনিবার রাতে ইরান তিন শতাধিক ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি।
হ্যাগারি ইতোপূর্বে বলেছিলেন যে ইরান দুই শতাধিক বস্তু নিক্ষেপ করেছে।
আজ রোববার হ্যাগারি বলেন, ইরান ১৭০টি ড্রোন এবং ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এগুলোর একটিও ইসরাইলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি। তিনি আরো বলেন, ১১০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে। এগুলোর কয়েকটি ইসরাইলে প্রবেশ করেছে।
পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, কয়েক ডজন আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এগুলোর বেশিভাগই ইসরাইলি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে।
রোববার সকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, ইরান থেকে নিক্ষেপিত ৯৯ ভাগ বস্তুই ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র হ্যাগারি বলেন, ‘ইরানি হামলা ভণ্ডুল করে দেয়া হয়েছে।’
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, আকাশপথে আসা সকল হুমকি দমনের জন্য তারা কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল। তারা হামলা প্রতিরোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রের সাথে কাজ করেছে।
এটা এখনো ‘শেষ হয়ে যায়নি’ : ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে মিলে তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোগীদের সাথে মিলে আমরা ইসরায়েল রাষ্ট্রের ভূখণ্ডের সুরক্ষা দিতে পেরেছি। খুবই অল্প কিছু ক্ষতি হয়েছে- এটা আইডিএফ এর কার্যক্রমের ফল।’
তবে তিনি বলেন, ‘অভিযান শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং আইডিএফ ও হোমফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনার প্রতি মনোযোগী থাকতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকত হবে। আমরা সফলভাবে হামলার ঢেউ প্রতিহত করেছি।’
সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি এবং অন্যান্য