করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্টেট হচ্ছে নিউইয়র্ক। নিউইয়র্কেই করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর যে শহরটিতে বাংলাদেশীদের বসবাস অন্যান্য স্টেটের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশীদের ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্রও এই শহরকে ঘিরে। মূলত: নিউইয়র্কে বাংলাদেশীরা বিভিন্ন বোরোতে বাংলাদেশী পাড়া গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, এস্টোরিয়া, ব্রুকলীনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ড, কুইন্সের ওজনপার্ক, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার এবং ম্যানহাটানের সিক্স স্ট্রিট অন্যতম। করোনায় লকডাউন এবং আতঙ্কের কারণে প্রায় এক মাসের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বাঙালি মালিকানাধীন রেস্টুরন্টগুলো বন্ধ ছিলো। যদিও হাতেগোনা কয়েকটি গ্রোসারি এবং রেস্টুরেন্ট খোলা ছিলো।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের এবং ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে জ্যাকসন হাইটসের প্রিমিয়াম, খাবারবাড়ি, হাটবাজার, ইত্যাদিসহ অন্যান্য রেস্টুরেন্ট, জ্যামাইকায় প্রিমিয়ার রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট, ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউজ এন্ড রেস্টুরেন্ট, প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্ট, এস্টোরিয়ার আলাউদ্দিন, বৈশাখী, ব্রুকলীনের গ্রীন হাউজ, রাঁধানীসহ অন্যান্য এলাকার রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে। এই রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতার বক্স বিক্রি করা হবে। তবে কোন রেস্টুরেন্টেই বসার কোন সুযোগ নেই, টেক আউট। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ইফতার ক্রয় করতে হবে। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন রেস্টুরেন্ট খোলা হবে দুপুর ২টায় এবং বন্ধ করা হবে ইফতার বিক্রির পর। তবে এবার কোন ইফতার পার্টি হচ্ছে না। করোনার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ভিন্ন রকমের রমজান পালন করছেন।