হবিগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনায় পাঁচ বছরের এক শিশু ও উপসর্গ নিয়ে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য নিশ্চিত করেছে হবিগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে এক দিনে এতগুলো রোগী শনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বেড়েছে।
জানা যায়, শনিবার প্রথমে পাঁচজন, পরে ২০ জন, তারপর আরো একজনসহ মোট ২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর আগে ১৫ দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২১ জন। এনিয়ে হবিগঞ্জে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।
এদিকে, নিজামপুরের এক যুবক করোনা উপসর্গ নিয়ে সিলেট শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তাকে শনিবার রাতে করোনা নীতি মেনে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় চুনারুঘাটের চা বাগানের পাঁচ বছরের এক শিশু। দুই দিন আগে তার করোনা শনাক্ত হয়। তাকেও করোনা নীতি মেনে সৎকার করা হচ্ছে।
একদিনে হবিগঞ্জে শনাক্ত নতুন ২৬ জন করোনা রোগীর মধ্যে সদর হাসপাতালের একজন ডাক্তার, দুইজন নার্স, দুইজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, দুইজন অ্যাম্বুলেন্স চালক, দুইজন আয়া ঝাড়ুদার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন কর্মচারী, জেলা প্রশাসনের একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন নাজির রয়েছেন। তাছাড়া চুনারুঘাট উপজেলার চারজনের মধ্যে একজন ডাক্তার রয়েছেন। বাকিরা লাখাই, মাধবপুর ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে, হবিগঞ্জের এমন নাজুক অবস্থার মধ্যেই জেলার হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তবে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষোভের মুখে রোববার দুপুর ১১টার দিকে হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলাকে এখনো লকডাউন ঘোষণা না করার তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবে এতো সব আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংবাদের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনযাপন চলছে হবিগঞ্জে। বাজারে ভিড় কমেনি। রাস্তাঘাটেও মানুষের ঝটলা দেখা গেছে রোববার সকাল থেকেই।
এদিকে, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের গরম পানি ব্যবহারের জন্য কিছু ফ্লাক্স দিয়েছে করোনা রোগীর সেবায় নিয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সচেতন নাগরিক কমিটি’ নামে একটি সংগঠন। কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ সামাউন বখত জানান, করোনা রোগীকে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। আমরা করোনা নীতি মেনে তাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী মিছবাহুল বারী লিটন, সদস্য সচিব চৌধুরী ফরহাদসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ সিভিল সার্জন অফিসে করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন।