জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ সংস্থায় ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়াতে যাচ্ছে। জাতিসঙ্ঘে একটি রাষ্ট্র যত ধরনের অধিকার পেতে পারে, তার প্রায় সবই ফিলিস্তিনকে দেয়া হবে। কেবল একটি অধিকার তারা এখনই পাবে না। সেটা হলো ভোট দেয়া।
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনের মর্যাদা বাড়ানোর প্রস্তাবটি উত্থাপন করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করছে, তাতে ফিলিস্তিনকে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, জাতিসঙ্ঘ সনদের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফিলিস্তিন জাতিসঙ্ঘের সদস্য পদ লাভে যোগ্য। এ কারণে তাদেরকে সদস্যপদ দেয়া উচিত।
গত মাসে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তারা তা পায়নি। তবে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে কোনো ভেটো ক্ষমতা নেই। ফলে ফিলিস্তিন ওই মর্যাদা পেয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই ১৪০টির বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসঙ্ঘ সদস্যপদ দিতে পারে না। তবে তাদেরকে কার্যত জাতিসঙ্ঘ সিস্টেমের মধ্যে রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিতে পারে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালে ১৩৮-৯ ভোটে ফিলিস্তিনকে অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। এর ফলে ফিলিস্তিনিরা জাতিসঙ্ঘ বিভিন্ন ফোরামে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়, বিভিন্ন চুক্তি ও সন্ধিতে সই করতে পারে।
নতুন প্রস্তাবটি পাস হলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সদস্য দেশগুলোর সাথে বসতে পারবে, নিজেদের অধিকারবলেই বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য উত্থাপন করতে পারবে। এমনকি তারা নিজেরাই বিভিন্ন প্রস্তাব, সংশোধনী পেশ করতে পারবে। তারা উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন সভা এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করতে পারবে। ওইসব স্থানে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদান করার বিরুদ্ধে। তারা মনে করে, দ্বিরাষ্ট্র সমঝোতা হওয়ার পর এই মর্যাদা নিশ্চিত করা উচিত।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট