বায়ার্ন মিউনিখ নয়, ওয়েম্বলির টিকিট কাটল রিয়াল মাদ্রিদ। আরো একবার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল দলটা। আরো একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তারা। দাঁড়িয়ে শিরোপা জয়ের দোরগোড়ায়। ১ জুন যেখানে বরুশিয়া ডর্টমুণ্ডের মুখোমুখি হবে লস ব্লাঙ্কোজরা।
বুধবার বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। কিন্তু পরের তিন মিনিটেই সব বদলে যায়, জোড়া গোল করেন হোসেলু; রিয়াল পায় ২-১ গোলের জয়। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে পা রাখে ফাইনালে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যে রিয়াল মাদ্রিদের রাজত্ব, আরো একবার যেন তাই দেখলো ফুটবল বিশ্ব। বিশ্ব আরেকবার জানলো, এখানে গল্পটা তারাই লিখে। আর না হয় হারতে বসা ম্যাচ মুহুর্তেই ঘুরিয়ে কিভাবে উঠে গেল স্বপ্নের ফাইনালে?
ঘরের মাঠে মাদ্রিদের সাদা রঙে ছেয়ে যাওয়া মাঠে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখায় স্বাগকিতরা। পুরো ৪৫ মিনিটই বায়ার্ন মিউনিখের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। গোলটাই যা পাওয়া হয়নি এ সময়। যেই গোল ধরা দেয় ৮১ মিনিটে, বদলি নামা হোসেলুর থেকে। মাঠে নেমে ১১ মিনিটেই যিনি বদলে দেন চিত্রনাট্য।
লড়াইটা রূপ নিয়েছিল আজ ভিনিসিউস বনাম নয়্যারে। ভিনিসিউসের একের পর এক আক্রমণ আটকে দিয়ে নয়্যারই অবশ্য এখানে এগিয়ে৷ যার শুরু ১৩তম মিনিটে। প্রথমে ভিনির নেয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। যা ধরে পরে জোরাল শট নিয়েছিলেন রদ্রিগো। সেটিও আটকে দেন নয়্যার।
প্রথমার্ধে একক আধিপত্যই ধরে রাখে রিয়াল। তবে গোলের দেখা পায়নি। বায়ার্নও পারেনি চমকে দিতে৷ গোলহীন থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে বায়ার্ন। সমানে সমানে লড়তে থাকে তারা। ফল পেয়ে যায় ম্যাচের ৬৮ মিনিটে। উড়ে আসা বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টনি রুডিগারকে কাটিয়ে দূরের পোস্ট বরাবর শট নেন আলফনসো ডেভিস। ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি লুনিন। ১-০ তে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
৫ মিনিট পর বল জালে জড়ায় রিয়ালও, কিন্তু রিভিউ দেখে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ফেদে ভালভার্দের নেয়া বুলেটগতির শট নয়্যারকে ফাঁকি দিলেও কাল হয়ে দাঁড়ায় নাচোর ফাউল। ভালভার্দে শট নেয়ার আগ মুহুর্তে জশুয়া কিমিখকে ফাউল করে বসেন রিয়াল দলপতি।
এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এগোচ্ছিল অনেকটা বায়ার্নের দিকেই। এমন সময় মাঠে আসেন হোসেলু। ৮৮ মিনিটে ফেরান সমতা। ভিনিসিউসের নেয়া শট আটকে দিলেও বল আয়ত্বে রাখতে পারেননি নয়্যার। সুযোগসন্ধানী হোসেলু যা দখলে নিয়ে জালে জড়াতে একদমই ভুল করেননি।
৩ মিনিট পর আবারও গোল করেন হোসেলু। কিন্তু বাধ সাধে তার অবস্থান। পরে ভার রিভিউ দেখে রেফারি নিশ্চিত হন, অফসাইড নয়; সেটি গোলই। তাতে আনন্দের জোয়ার উঠে বার্নাব্যুতে। শেষ পর্যন্ত যা আর থামেনি।