বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব বেশি হওয়ায় হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে ভারত সফর করবেন বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সহজে যাতে মানুষ ভিসা পায় এবং দেশে-দেশে যোগাযোগ যেন আরও বাড়ে এবং আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা অনেক দূর এগিয়েছে, বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়া এবং নেপাল ও ভুটান থেকে জল বিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহায়তা করা। ইতোমধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সব কিছু চূড়ান্ত হয়েছে, ট্যারিফও অনেকটা চূড়ান্ত হয়েছে।’
বৈঠকে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের অন অ্যারাইভাল ভিসা কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভিসানীতি সহজ করা নিয়ে আলোচনা করেছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে সীমান্তে যে মাঝে মাঝে সীমান্ত হত্যা হয়, সেটি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রাণঘাতী নয়, এমন ব্যবহার করার ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি এবং তিনি (বিনয় মোহন কোয়াত্রা) জানিয়েছেন, তাদের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তারা সেটি অনুসরণও করেন। অনেক কাছ থেকে যখন অপ্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটি তখন প্রাণঘাতী হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। এটি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী, সরকারি ও রাজনৈতিক পর্যায়ে এ বিষয়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই— যাতে এখানে জিরো ক্যাজুয়ালিটি হয়। মাঠ পর্যায়ে সীমান্ত রক্ষীদেরও সেই মেসেজ দেওয়া হয়েছে।’
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আমরা একটি বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তা যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে সেটি আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হতে হবে। আমাদের নিড যাতে ফুলফিল হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সফর কবে, সেটি ঠিক হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের কথা হচ্ছে, কোনটি (দিল্লি সফর না বেইজিং সফর) আগে হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন, দিল্লি আমাদের কাছে, বেইজিং একটু দূরে। প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকেই ভারত সফরের কথা রয়েছে কিন্তু সেখানে যেহেতু ইলেকশন, সেই ইলেকশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে সেটি নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।’