প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, সরকারি অফিস, আদালত সীমিত আকারে চালু করা হবে। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। সামনে ঈদ, ঈদের আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার সেগুলো যেন মানুষ করতে পারে।
‘কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, খুব বেশি মানুষ একসাথে জড়ো হওয়া বা জনসমাগম থেকে সবাইকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।
রংপুর বিভাগের জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর এবং গাইবান্ধা।
এসময় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে জানান তিনি।
‘এটা মনে রাখতে হবে যে শুধু আমরা না, সারাবিশ্বব্যাপী এই অবস্থা চলছে। যদিও আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করায় ভালো ফলাফল পাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার কারণে ইফতার-সাহরির সুবিধার্থে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জেলাভিত্তিক যেসমস্ত ছোটখাটো ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে সেগুলো যাতে চলতে পারে সেইভাবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছে।
এসময় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
‘আমরা ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি এবং আমরা এটা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়াতে চাই,’ বলেন তিনি। সূত্র : ইউএনবি