মার্কিন অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১.৩ শতাংশ। ২০২২ সালের বসন্ত কালের পর থেকে এটিই সবচেয়ে দুর্বল কোয়ার্টারলি হার।
ভোক্তা ব্যয় বেড়েছে, তবে আগে যতটুকু আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক মন্থরভাবে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে উচ্চ ইন্টারনেট হার এবং দীর্ঘ দিন ধরে চলা মুদ্রাস্ফীতি গৃহস্থালী বাজেটে চাপ সৃষ্টি করছে।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ ইতোপূর্বে হিসাব করেছিল যে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন গত কোয়ার্টারে ১.৬ শতাংশ হারে সম্প্রসারিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসের প্রবৃদ্ধিতে বেশ তেজিভাব দেখা গিয়েছিল। ওই সময় তা ছিল ৩.৪ শতাংশ। কিন্তু এরপরের তিন মাসেই এর ব্যাপক পতন ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে, দুটি কারণে গত তিন মাসে এই স্থবিরতা খো দিয়েছে। একটি হলো আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়া এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম কমা।
এদিকে ভোক্তা ব্যয়ের চিত্রে দেখা গেছে, জ্বালানি খাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। এটি ২ শতাংশ হারে বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গৃহস্থালী সামগ্রী ক্রয়ে ব্যয় ১.৯ ভাগ কমেছে।
পরিষেবা খাতে অবশ্য বেশ ভালোই প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, ৩.৯ শতাংশ। ২০২১ সালের মধ্যভাগের পর এটিই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
তবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ দুই বছর আগে সুদের হার বাড়ানোর পর থেকে বিষ্ময়করভাবে টেকসই চিত্র প্রদর্শন করছে। চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই উদ্যোগ নেয় ফেডারেল রিজার্ভ।
সাধারণভাবে ধরা হয় যে ঋণের ব্যয় বাড়লে মন্দা দেখা দেবে। কিন্তু মার্কিন অর্থনীতি বাড়ছে, কোম্পানিগুলো কর্মী নিয়োগ করছে।