আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বান্দরবানে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কী কী সম্পত্তি রয়েছে তার হিসাব দিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
এ নির্দেশনার পর বেনজীরের সম্পত্তির খোঁজ নিতে মাঠে নেমে পড়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় বেশ কিছু জায়গা-জমির খোঁজ পেয়েছে প্রশাসন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা থেকে বেনজীর আহমেদের নামে কী সম্পত্তি রয়েছে তার খোঁজ দিতে একটি চিঠি দেয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (৬ই জুন) মধ্যে সম্পত্তির হিসাব ঢাকায় পাঠানোর জন্য ওই চিঠিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ভূমি বিভাগ থেকে সব ধরনের কাগজপত্র তলব করা হয়েছে। তদন্তের পর বেনজীর আহমেদের কী কী সম্পত্তি রয়েছে তার হিসাব ঢাকায় পাঠানো হবে। সুয়ালকে সম্পত্তির খোঁজ পেলেও লামার সম্পত্তির বিষয়ে এখনো কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত সব সম্পত্তির হিসাব দুদুকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালীন বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝের পাড়া এলাকায় প্রায় ৭০ একর জায়গা দখলে নিয়ে নেন। সেখানে রাবার হর্টিকালচার লিজ ও মানুষের ক্রয়কৃত জায়গাও রয়েছে। ওই জায়গা দেখিয়ে গত বছর বনবিভাগ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ঘনফুট গাছের পারমিট করেন বেনজীর। প্রায় অর্থ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয় গাছ বিক্রি করে। ওই জায়গায় গরু ও মৎস্য খামার সেই সাথে আলিশান বাংলো করা হয়। অন্যদিকে লামার সরই ইউনিয়নেও বেনজীরের আরো শতাধিক একর জায়গার খবর পাওয়া গেছে।
সেখানকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেছেন, তৎকালীন সময়ে পুলিশের কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের স্থানীয় বেশ কিছু নেতা বেনজীরের নাম ব্যবহার করে প্রচুর সম্পত্তি দখলে নিয়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এসব দখলকৃত জায়গা জমি তাদের ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।