এক মাসের বেশী সময় ঘরে অবস্থানের নির্দেশনা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন অঞ্চল করোনাভাইরাসের হট স্পট হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে বিশেষ করে আফ্রিকান-আমেরিকান এবং লাতিন জনগোষ্ঠীর লোকরা সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। ওয়াশিংটন এবং পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য ম্যারিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ায় বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশী লোক কোভিড-১৯এ আক্রান্ত এবং প্রায় ২ হাজার ৩০০ লোক মারা গেছে।
ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হোগান এপ্রিলের প্রথমদিকে আশঙ্কা করেছিলেন, নিউইয়র্কের পরে এই অঞ্চল মহামারির অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হবে। মার্চের শেষ দিক থেকে লকডাউন ও স্কুল বন্ধ এবং জরুরি নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সত্ত্বেও এই অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ,হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওয়াশিংটন সীমান্তের কাছে ম্যারিল্যান্ডের মন্টোগেমারি কাউন্টির স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রধান ট্রাভিস গ্যালেস এএফপিকে বলেন, “ আমরা উচ্চ জনবসতি ও জনঘনত্বপূর্ণ এলাকায় আছি।”
তিনি বলেন,“ জরুরি কাজে নিয়োজিত আমাদের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক রয়েছে ,তাদের কাজে যেতে হয়, সেখানে সংক্রমন ছড়িয়ে পরার বড় আশঙ্কা রয়েছে।” যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর উত্তরে মন্টোগোমারি কাউন্টিতে ১০ লাখের মতো লোক বাস করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে ৫ হাজার ৫৪১ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এবং ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ম্যারিল্যান্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪০০ জন এবং মোট মারা গেছে ১ হাজার ৩০০ জন।
অনেক এলাকার জরুরি শ্রমিক আফ্রিকান-আমেরিকান এবং লাতিন জনগোষ্ঠীর লোক ,তাদের সংক্রমন এবং মৃত্যুর হার হোয়াইটদের তুলনায় বেশী। গ্যালেস বলেছেন,“তারা সাধারণত দুই বেডরুমের বাসায় দুই পরিবার থাকে।” তাদের একজনের করোনা পজিটিভ হলে অন্যদেরমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে আইসোলেশনের কোন সুযোগ নেই। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে ১৫ মে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা মেনে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে লকডাউন শিথিল করার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি এমন চাপও রয়েছে। ভার্জিনিয়ায় এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫০০ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে,মারা গেছেন ৭০০ জন।