ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবীর সহকারী কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার মোবারক হোসেন ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরো দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে একজনকে।
আজ সোমবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত মোবারক হোসেন বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর মৃত ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভুলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলিপ, রুহুল আমিন, শিপন মিয়া, বিধান সন্যাসী ও নিলুফা আক্তার।
এক বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, তাসলিমা আক্তার ও শামিম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুল।
খালাস পেয়েছেন জয়নাল আবেদিন ওরফে ফালু।
তাদের সবার বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার গোথালিয়া ও নবুরিয়া গ্রামে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোবারকের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। এতে মোবারক হোসেন মারা যান। পরদিন মোবারকের ছোট ভাই ১৫ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। চার্জশিটের ৩১ জন সাক্ষীর বিভিন্ন সময়ে ২৩ জন সাক্ষ্য দেন।
আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর মৃত হাজী সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে অবু ভূঁইয়ার ছেলে মো: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভুলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, একই গ্রামের পরেশ সন্যাসীর ছেলে বিধান সন্যাসী, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলিপ, সিকরিত ভূঁইয়ার স্ত্রী সুলতানা আক্তার, ছেলে নুরুজ্জামান, একই এলাকার নবুরিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন, একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুল, রস্তুমপুর সবুজ ভূঁইয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে ফালু, একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া ও একই থানাধীন মইতপুরের কাজী জজ মিয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার।
আসামিদের মধ্যে আটজন কারাগারে, একজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।