রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

যুদ্ধের আশঙ্কায় লেবানন ছাড়ার পরামর্শ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৭ বার

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধের আশঙ্কায় লেবানন ছাড়ছেন বিদেশি নাগরিকরা। গতকাল সোমবার কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে চলে যাবার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

সংঘাতের তীব্রতা কম থাকলেও গত কয়েক মাস ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই উত্তেজনা নতুন করে তীব্রতা পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে লেবাননের অভ্যন্তরে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে লেবানেন থাকা নিজেদের নাগরিকদের চলে আসার পরামর্শ দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত সতর্কতা দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় তারা নাগরিকদের লেবানন থেকে চলে যাবার বা সেখানে না যাবার আহ্বান জানিয়েছে।

বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তা রেনা বিটার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক ভিডিওতে সঙ্কটময় সময়ের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে বিপদ শুরু হওয়ার আগেই চলে যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আমরা সঙ্কটময় সময়ের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে বিপদ শুরু হবার আগেই চলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। যতদিন স্থানীয় যোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে চালু থাকবে, ততদিন নিয়মিত পরিবহন মাধ্যম ব্যবহার করাই ভাল।’

জার্মানি তাদের নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে লেবানন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। তারা জানায়, বিমান ভ্রমণ খুব শীঘ্রই স্থগিত করা হতে পারে এবং সংঘাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বৈরুত বিমান বন্দর থেকে বিমান যাত্রা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com