ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে আজ বুধবার ভোরে এক গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। হামাস এই ঘটনার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। ইসরাইল এ ব্যাপরে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিযে ইরানি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, হানিয়া যে ভবনে থাকতেন, সেখানে হামলা হয়। হামলায় হানিয়া এবং তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়া তেহরান গিয়েছিলেন।
বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ‘তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী হামলা হয়েছিল।’ হামলাটি কিভাবে হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
চলমান গাজা যুদ্ধে ইতোপূর্বে হানিয়া বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ স্বজনকে হারিয়েছেন। এপ্রিলে ইসরাইলি বিমান হামলায় তার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হয়। গত মাসে তার এক বোনকে হত্যা করা হয়।
৬২ বছর বয়স্ক হানিয়া কাতারে প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন।
হানিয়া গাজা সিটির কাছে এক উদ্বাস্তু শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮০-এর দশকে প্রথম ইন্তিফাদা আন্দোলনের সময় হামাসে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের প্রধান হন।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য