মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাসের জিন রহস্য উন্মোচনের দাবি বাংলাদেশী গবেষকদের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ মে, ২০২০
  • ২৯১ বার

বিশ্বজুড়ে সংক্রমিত নতুন করোনাভাইরাসের (সার্স সিওভি-২) জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডেটাবেইজে (জিআইএসএআইডি) জমা দেয়া হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অনুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ঢাকার গবেষণাগারে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পুরো কাজ হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণা সম্পন্নের পর নিয়মানুযায়ী তারা এ জিনোম সিকোয়েন্সটির তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দিয়েছেন। খুব শিগগিরই এ জিনোম সিকোয়েন্সটির তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সাধারণত ভাইরাসের সিকোয়েন্স করা কিছুটা দুঃসাধ্য। সেখানে করোনাভোইরাসের মতো সংক্রমণশীল ভাইরাসের সিকোয়েন্স করা খুবই কঠিন। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ভাইরাসটিকে নিস্ক্রিয় করে মেটাজিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের নমুনা থেকে আরো কিছু ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করতে সক্ষম হব। যা আমাদের ভাইরাসটির উৎপত্তি, গতিপ্রকৃতি বুঝতে ও প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে সহায়তা করবে।

তাদের গবেষণার কাজটি সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং চ্যান জুকারবার্গ বায়োহাব ইনিশিয়েটিভ সার্বিক সহযোগিতা করেছে বলেও জানায় চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

উল্লেখ্য, জিনোম হলো প্রাণী বা উদ্ভিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদের জিনোমে নিউক্লিওটাইডগুলো কীভাবে বিন্যস্ত আছে তার লিপিবদ্ধ করাকে বলে জিনোম সিকোয়েন্সিং। এই নকশার ওপরই নির্ভর করে ওই প্রাণি বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com