যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি এক বছর আগের তুলনায় ২.৯ ভাগ বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ আগামী মাসে সুদ হার কমানো শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে মুদ্রাস্ফীতি যতটুকু বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে সামান্য কম বেড়েছে।
কনজুমার প্রাইজ ইনডেস্ক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ ভাগের ঠিক নিচে অবস্থান করছে। তবে অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশা পূরণ করে এক মাস আগের তুলনায় ০.২ ভাগ বেড়েছে বলে ব্যুরো অব রেবার স্ট্যাটিসটিক্স জানিয়েছে।
সর্বশেষ ফলাফল অনেক বেশি সহনীয় প্রবণতা বলে মনে হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের সূচনায় সুদের হারে ব্যাপক উত্থান-পতন দেখা দিয়েছিল। সেখান থেকে এখন বেশ স্থিতিশীল অবস্থায় চলে এসেছে।
জ্বালানির মতো পণ্যের দাম কমতে থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির গতি স্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।
আর মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল হওয়ায় আমেরিকার ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। তিন বছর আগে থেকে বিশেষ করে খাবার, গ্যাস, বাড়িভাড়া এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার ব্যাপকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় আমেরিকানদের জীবনযাত্রা বেশ নাজুক হয়ে পড়েছিল।
চার দশকের মধ্যে দুই বছর আগে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ ৯.১ ভাগে ঠেকেছিল।
এক বছর খাবারের দাম ১.১ ভাগ বাড়ছে। তবে গত তিন বছর ধরে খাবারের দাম প্রায় ২১ ভাগ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুদ্রাস্ফীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর পণ্যের দাম বাড়ার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের জ্বালানি নীতিকে দায়ী করে আসছিলেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শনিবার বলেছেন, ব্যয় কমানো এবং অর্থনীতিকে সার্বিকভাবে শক্তিশালী করতে তিনি শিগগিরই নতুন কিছু প্রস্তাব পেশ করবেন।