বিদ্যুৎ বিক্রির বকেয়া অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ‘কঠোর বার্তা’ দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। পাওনা বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের ওই প্রতিবেদনের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস সোমবার জানিয়েছে, ভারতের ঝাড়খন্ডের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের গড্ডা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলার হয়েছে। এ পরিস্থিতিকে আদানি গোষ্ঠী ‘টেকসই নয়’ বলে বর্ণনা করেছে।
বিদ্যুৎ কেনা বাবদ এই বকেয়া মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে ইকোনমিক টাইমস মনে করছে। গত মাসে শেখ হাসিনার সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়। আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনাসহ শেখ হাসিনার আমলে করা বিভিন্ন ব্যয়বহুল অবকাঠামো চুক্তির সমালোচনা করেছে নতুন সরকার।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার বলেছে যে আর্থিক চাপ সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশে বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য সরবরাহ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা বাংলাদেশের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের জানিয়েছি যে পরিস্থিতি আর টেকসই পর্যায়ে নেই। কারণ, আমরা একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, অন্যদিকে তেমনই আমাদের ঋণদাতা ও সরবরাহকারীদের কাছে দেয়া অঙ্গীকারও রয়েছে।’
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের জ্বালানি বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ফয়জুল কবির খান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, আদানিগোষ্ঠীর কাছে বাংলাদেশের পাওনা রয়েছে ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং এই অর্থ পরিশোধে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে বাংলাদেশের সরকার।