স্বায়ত্বশাসন হারানোর পর জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) মোট ৯০ আসনের মধ্যে ৪৯টি আসন পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ২৯টি সিট। আর এক সময় জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতায় থাকা পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) পেয়েছে মাত্র তিনটি আসন। আজ মঙ্গলবার ভোটগণনা শেষে এ ফল জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কেন্দ্রশাষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভায় ৯০টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। এনসি-আইএনসি জোট ৪৯টি আসনে জয়লাভের কথা জানিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন জম্মু-কাশ্মীরের উপ-গভর্নর মনোজ সিনহা।
কখনোই জম্মু-কাশ্মীর শাসন না করা বিজেপি ২৯টি আসন পেয়েছে। জম্মুতে তাদের বেশি বিজয় এসেছে। এখানে ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে চারটি বেশি আসনে তারা জয়লাভ করেছে, তবে তা তাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি, যারা বিজেপির সঙ্গে জোট করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার গঠন করেছিল- তারা এতদিন ‘কিংমেকার’ হিসেবে পরিচিত ছিল। বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছিল, তারা ৪ থেকে ১২টি আসন পেতে পারে এবং সরকার গঠনে এনসি-আইসিকে সমর্থন দিতে পারে। তারা মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে, যা গত নির্বাচনের চেয়ে ২৫টি কম। আর এনসি-আইএনসি যে আসন পেয়েছে, তাতে সরকার গঠনে তাদের মেহবুবা মুফতির সমর্থনের দরকার নেই।
প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়া আম আদমি পার্টি (আপ) একটি আসন পেয়েছে। একটি আসন পেয়েছেন পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন। বাকি সাতটি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এদিকে, আজ হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলও ঘোষণা করা হয়েছে। এ রাজ্যে ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। আইএনসি পেয়েছে ৩৭টি আসন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি) পেয়েছে দুটি আসন। আর বাকি তিন আসন পেয়েছে অন্যান্যরা।