বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির রাষ্ট্রীয় বাসভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৯, হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবনটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাসভবনটির অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতি প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে ‘দ্যা এন্টিকিটিজ অ্যাক্ট, ১৯৬৮’ বিধান অনুযায়ী বাসভবনটির মালিকানা ও ব্যবহার স্বত্ব সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে অক্ষুনণ্ন রেখে দৃষ্টিনন্দন ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি সংরক্ষণ করা হলে স্থাপনাটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ঘোষণার পর নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী ঢাকাতে স্থানান্তরিত হলে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যে সব আবাসিক ভবন তৈরি করা হয়েছিল তার মধ্যে প্রধান বিচারপতির এই বাসভবন অন্যতম।
১৯০৮ সালে নির্মিত এ স্থাপনায় মুঘল ও ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতির মিশ্রণ রয়েছে। ১৯৫০ এর দশক থেকে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সূত্র : বিবিসি