উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে চাপে থাকার কথা জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খাদ্য ভবনে আমন সংগ্রহ কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আলী ইমাম বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত, নিজে বাজার করে খায়। আমি নিজেও মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে আছি। তবে, নতুন ধান ও সবজির সরবরাহ বাড়লে বাজারে স্বস্তি আসবে।’
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম চড়া। যে কারণে সরকারিভাবে চাল আমদানিতে মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হচ্ছে। এ সব দেশকে চালের দাম কমাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলের বন্যাসহ একাধিক বন্যায় চালের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় প্রথমে বলেছিল উৎপাদন কমবে ১০ লাখ টন, পরে জানিয়েছে এটি হয়তো ৬-৭ লাখ টনের মতো হবে। এ জন্য আমরা দ্রুত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাল আমদানির ওপর শূন্য শুল্ক আনা হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে, উত্তরাঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলনের কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। উৎপাদন ভালো হলে আমরা হয়তো কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকব।’
কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষক যেন ফেয়ার প্রাইস বা ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য আমরা ধানের সংগ্রহ মূল্য বাড়িয়েছি। আগামী রবিবার থেকে উত্তরাঞ্চলে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হবে।’
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের আমন মৌসুমে ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান। এ বছর আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এছাড়া ৪৬ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে।