করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের কারণে আন্তঃজেলা যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজধানীকে নিরাপদ রাখতেও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে জনগণকে গ্রামের বাড়িতে না যাওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আসন্ন ঈদের ছুটিতে জনগণকে নিজ নিজ স্থানে থাকতে হবে এবং আন্তঃজেলা/উপজেলা বা বাড়িতে যাওয়ার ভ্রমণ থেকে নিবৃত্ত করতে হবে।
অথচ সাধারণ মানুষ ঈদ উপলক্ষে নানা পথ অবলম্বন করে গ্রামমুখী হচ্ছে। গতকাল আমাদের সময়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পদ্মা। ঝড়ের কবলে প্রাণহানি এড়াতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেও অবৈধভাবে চলা ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘাটে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় ট্রলারগুলো পুরনো মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে এসে দুই দফা চরে কিছু যাত্রী নামিয়ে, ভিড়ছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের দূরবর্তী স্থানে পদ্মা সেতুর কাছে। যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। স্বাভাবিক সময় লঞ্চে এই ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা।
যেখানে করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে এভাবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চিত্র আমাদের সন্দিহান করে তোলে, তবে কি তারা এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছে না। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আরও প্রচার ও প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন জরুরি। যেহেতু এ ভাইরাসের এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক নেই, আপাতত সঙ্গনিরোধকই একমাত্র উপায়। সুতরাং সরকারকে আন্তঃজেলা যোগাযোগ বন্ধে আরও কঠোর হতে হবে। শুধু সরকার নয়, আমাদেরও সচেতন হতে হবে। নিজেকে নিরাপদ রাখতে ও প্রিয়জনকে নিরাপদ রাখতে ঘরেই থাকতে হবে।