বিদ্রোহী বাহিনীর সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পোতে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে রুশ ও সিরীয় বাহিনী ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে চলেছে। বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করে হামার দিকে অগ্রসর হওয়ার দাবি করেছে।
শনিবার রুশ ও সিরীয় বিমান হামলায় অন্তত ১৬ বেসামরিক নাগরিক এবং ২০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচএস) জানিয়েছে।
সিরিয়ার বাহিনী ২০১৬ সালে বিদ্রোহীদের নগরী থেকে বিতাড়িত করার পর এই প্রথম সেখানে বিমান হামলা হলো।
তবে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং মিত্র গ্রুপগুলো শনিবার আরো জয়ের দাবি করেছে। তারা বলেছে, তারা আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করেছে। এছাড়া দক্ষিণ ইদলিপের খান শেখুন নামের কৌশলগত নগরীও তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। উল্লেখ্য, এসব গ্রুপের কোনো কোনোটিকে সমর্থন করছে তুরস্ক।
গ্রুপগুলো দাবি করেছে, ইদলিব এলাকার প্রশাসনিক সীমান্তও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
তারা হামার দিকে সফলভাবে অগ্রসর হয়ে সফলভাবে ছয়টি শহর ও গ্রাম দখল করেছে। এর মধ্যে মরেকও রয়েছে। এটি মধ্য সিরিয়ার সাথে উত্তরের সংযোগকারী মহাসড়কে অবস্থিত।
গত বুধবার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা আলেপ্পোর ওপর হামলা শুরু করে। তারা দু’দিনের মধ্যে অগণিত শহর ও গ্রাম দখল করে, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এম৫ মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, দামেস্কগামী সরবরাহ রুটগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারা বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিও দখল করেছে।
সিরিয়া সরকার শনিবার বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রার কথা স্বীকার করেছে। তবে তাদের বাহিনী আবার মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
এবারের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২৭ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে সিরিয়ার সাথে ব্যাপকভাবে সংশ্লিষ্ট তুরস্ক ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার ফোনে কথা বলেছেন। তারা সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে মস্কো জানিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ ফোনে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথেও ফোনে কথা বলেছেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই