শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

মাস্ক পরা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় পরিবর্তন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ২৫৪ বার

মাস্ক পরা নিয়ে নিজেদের উপদেশ পরিবর্তন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন তারা বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থামাতে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা উচিত।

সংস্থাটি বলছে, মাস্ক পরলে ‘জীবাণু বহনকারী ড্রপলেট’ থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্বের বেশ কিছু দেশ এর মধ্যেই প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরার উপদেশ দিয়েছে। কিছু দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে, এ সম্পর্কে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কোভিড-১৯ এর টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন, যেসব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে সেসব জায়গায় মানুষকে ‘কাপড়ের মাস্ক – যেটি মেডিক্যাল মাস্ক নয়’ পরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবসময়ই বলে এসেছে, মেডিক্যাল ফেস মাস্ক শুধু অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবার সাথে জড়িতদের ব্যবহার করা উচিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ কী?
সংস্থাটি বলছে গত কয়েক সপ্তাহে চালানো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডা ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘আমরা সব দেশের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি যেন তারা জনসাধারণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে।’

পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিও বলছে, অনেক রকম সুরক্ষা উপকরণের মধ্যে মাস্ক একটি। তবে মানুষ যেন মনে না করে যে, মাস্ক পরলে তিনি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত থাকবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ‘শুধু মাস্ক কখনো আপনাকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখবে না।’

নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন
নতুন এই উপদেশ দেয়ায় মাস্ক পরা না পরা নিয়ে নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন আনলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন, মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা – যাদের মাস্ক পরা জরুরি – হয়তো মাস্ক পাবেন না।

ওই যুক্তিগুলো এখনো বাতিল করে দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে তারা বলছে, সংক্রমণের বিষয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে।

তারা বলছে, সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের – উপসর্গ প্রকাশের আগের কয়েকদিন মানুষ ব্যাপক আকারে সংক্রমণ করতে পারে, আবার অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গই দেখা যায় না তাদের মধ্যে – ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে তারা।

কাজেই যেসব জায়গায় দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয় – গণপরিবহন, শরণার্থী শিবির, জনবহুল দোকানপাট – সেখানে ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

যাদের বয়স ষাটের ওপর এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা আরো উন্নত মেডিকেল গ্রেড মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com