

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যদি তাদের শাপলা প্রতীক না দেয়, তবে দলের নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি নির্বাচন কমিশনের ওপর ‘স্বৈরাচার’ ও ‘বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রিত’ হওয়ার অভিযোগ তোলেন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বারের ধামতী এলাকায় ‘উঠানের রাজনীতি’ শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। তার রিমোট কন্ট্রোল অন্য জায়গায়। নির্বাচন কমিশন আগারগাঁও থেকে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিচালিত হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে।
তিনি আরও বলেন, উনারা (নির্বাচন কমিশন) বলছেন-শাপলা কেন দেবে না এটা নাকি ব্যাখ্যা করবে না। জনগণ আপনাদের ব্যাখ্যা ছাড়া মানবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে একটা স্বৈরাচার কমিশন হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। আউয়াল কমিশনের থেকেও এই কমিশন আরও ঘৃণ্য, বাজে নিচুস্তরের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিচ্ছে।
সিইসির সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশন একটা ‘স্পাইনলেস কমিশন’ হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি। উনাদের কোনো সিদ্ধান্ত উনারা নিজেরা নেন না। স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা কোনো না কোনোভাবে ‘এক্সটার্নাল ফোর্স’ দ্বারা প্রভাবিত।”
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা যেন শাপলা চাওয়া থেকে পিছিয়ে আসি। শাপলা যদি ‘জাতীয় প্রতীক’ হওয়ার কারণে রাজনৈতিক দলের প্রতীক না দেওয়া যায়, তাহলে ধানের শীষকেও বাতিল করতে হবে। কারণ ধানের শীষও জাতীয় প্রতীকে রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখলাম একটা দ্বিচারিতা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যদি শাপলা না দেয় নির্বাচন কমিশনের আমাদের নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি আমরা বিপ্লবী ফোর্স হিসেবে আমাদের এই বিপ্লবের অসম্পূর্ণ কাজ আমরা সম্পন্ন করব।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত উঠান বৈঠকে এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।