সবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপে আর আপনি আপনার ইচ্ছেমতো যা খুশি শেয়ার করতে পারবেন না! আগামী তিন মাসের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার নিয়মকনুন আরও কঠিন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির উপরও দায়িত্ব বাড়ানো হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগের দাবিতে দেশের একাধিক হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। ফেসবুক সেই মামলাগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করছে। ফেসবুকের করা আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী আনা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর, বিদ্বেষ, আপত্তিকর মন্তব্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অপপ্রচার রুখতেই এই আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র মনে করছে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো প্রয়োজন। প্রযুক্তি যেমন আর্থিক এবং সামাজিক দিক থেকে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি ছড়াচ্ছে ভুয়ো খবর এবং বিদ্বেষ। কেন্দ্র বলছে, গত কয়েক বছর ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং স্মার্টফোনের দাম অনেক কমেছে। এর ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা শহরের চৌহদ্দি পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে প্রান্তিক মানুষের কাছে। এর ফলে যেমন উন্নতি হচ্ছে তেমনি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। তাই দ্রুত আইন পরিবর্তন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাম লাগানোর প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় নিরাপত্তার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির এই প্রবণতা আদতে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করা নয় তো? বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, বিরোধীদের দমন করার লক্ষ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া আইনে সংশোধনী আনছে কেন্দ্র।