মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

দলের কাজে নির্দেশনা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ২৩১ বার

মুক্তির শর্ত মেনেই দলীয় রাজনীতির খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কখনো দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাসায় ডেকে কথা বলছেন, আবার মোবাইল ফোনে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সও করছেন। এরই মধ্যে গুলশানের বাসায় পৃথকভাবে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, এক ভাইস চেয়ারম্যান, তার এক আইনজীবী এবং বিশেষ সহকারীকে ডেকে কথা বলেছেন বেগম জিয়া। তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ নির্দেশনাও দিয়েছেন।

খালেদা জিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুসারীরা কিছুটা চিন্তিত এবং বিচলিতও বটে। কারণ তারেক রহমানের হাতে দলের ভার থাকাকালে তাদের যে প্রভাব আছে, তা খর্ব হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। বেগম জিয়া আবার সক্রিয় হলে তারেক রহমানের বলয়ের নেতা-কর্মী ও অনুসারীদের গুরুত্ব কমে যাবে।

তারেক রহমানের অনুসারী বলে দলে যাদের পরিচিতি আছে, তাদের অধিকাংশই চান না খালেদা জিয়া আবার দলের দায়িত্ব নিক। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল পরিচালনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তারা। তবে সম্প্রতি যারা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তারা বলছেন, বেগম জিয়া দল সম্পর্কে বেশ খোঁজখবর নিচ্ছেন। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে তিনি সক্রিয় হবেন। এখন মোবাইল ফোনে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন।

জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ডেকেও কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ

পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়াল উপায়ে পর্যায়ক্রমে দলীয় নেতা, দলের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলা শুরু করেছেন।

গত ৭ জুন রবিবার রাতে খালেদা জিয়া টেলিফোনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য ফুল ও ফল পাঠিয়ে টেলিফোনে কুশলও বিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ আমাদের সময়কে বলেন, বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দল পরিচালনা করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য বেগম জিয়াকে সরকার মুক্তি দিয়েছে। এই সময়টা গেলে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবেন। এখন সময়টা খারাপ। এই মুহূর্তে অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নেই। বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ চলছে। এই অবস্থায় রাজনীতি বলতে আমরা যা বুঝি মিছিল-মিটিং, জনসচেতনতা ইত্যাদি করার সুযোগ নেই।

এদিকে খালেদা জিয়ার এই উদ্যোগে দলের স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাদের কথায় এক ধরনের স্বস্তির মনোভাব দেখা গেছে। অনেকে বলছেন, অন্তত আরও কিছুদিন দলীয় রাজনীতিটা সম্মানের সাথে করা যাবে। দলের স্থায়ী কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বড় একটি অংশ খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েন। হতাশায় তারা দলীয় রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। বেশ কয়েক নেতা পদত্যাগও করেছেন, যারা এখন নতুন করে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

অন্যদিকে দলীয় নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎসহ অন্য কার্যক্রমে তার পুত্র তারেক রহমানের অনুসারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনায় তারেক রহমান সরাসরি ভূমিকা রাখছেন। খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর দলের নীতিনির্ধারণী সব সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের কাছ থেকেই আসছে। সিদ্ধান্ত তিনি নিজে নিলেও স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে তা অনুমোদন করে নিতেন সব সময়ই। যদিও তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এ পর্যন্ত কোনো নেতার প্রকাশ্যে দ্বিমতের কথা শোনা যায়নি।

দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর একটা ধারণা তৈরি হয়েছিলÑ খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে। এই অবস্থায় তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না থাকলে দলীয় রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়তে পারেন। এজন্য সিনিয়র অনেক নেতাই তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে দেন; কিন্তু হঠাৎ করে পরিবারের উদ্যোগে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা ছয় মাস স্থগিত করলে ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে দলে কোনো অনৈক্য নেই।

অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনীবিদরা কখনই নীরব থাকেন না। সব সময় জনগণকে নিয়ে ভাবেন, জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যে কোনোভাবে রক্ষা করেন একজন রাজনীতিবিÑ এটাই তো রাজনীতি। সেদিক থেকে বলতে পারিÑ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আছেন, থাকবেন এবং সক্রিয়ভাবেই থাকবেন।

দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিপরীতে রাজনীতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে খালেদা জিয়াই বিএনপির জন্য অপরিহার্য। দেশে এবং বিদেশে তার গ্রহণযোগ্যতার ধারেকাছেও দলের অন্য কেউ নেই। আইনি মারপ্যাঁচে তারেক রহমান এই মুহূর্তে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন; কিন্তু খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে তারেক রহমানের দল পরিচালনা করা সহজ হবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেসব প্রভাবশালী দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে তাদের আপত্তি এখনো দূর হয়নি। ফলে খালেদা জিয়াকে বিএনপির রাজনীতির টানেলের শেষ আলো হিসেবে মনে করেন দলের নেতাকর্মীরা। এই অবস্থায় খালেদা জিয়া ঘরোয়াভাবে কৌশলে দল পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে কোনো সমস্যা দেখছেন না সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, খালেদা জিয়া যদি এই দলের হাল না ধরেন তা হলে কৌশলে তারেক রহমানকেও শক্তিশালী কোনো মহল দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি জিয়া পরিবারবিহীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

মুক্তি পাওয়ার পর যেসব নেতাকে ডেকে খালেদা জিয়া কথা বলেছেন, তাদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আবার বিএনপির হাল ধরবেন সরাসরি না বললেও তারা কথা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় দলের অনেক সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার কাছে সঠিক তথ্য ছিল না। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটিতে নতুন দুই সদস্য নিয়োগ, কূটনৈতিক উইং গঠন, বিভিন্ন জেলা কমিটি ভাঙা-গড়া এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগে-পরের সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়েছে, জাতীয় সংসদে যোগ দেওয়া, বগুড়া উপনির্বাচনে তাকে প্রার্থী করার উদ্যোগ কীভাবে হলো- এসব বিষয়ে তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী কমিটিতে দুই সদস্য নিয়োগ নিয়ে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে এখনো ক্ষোভ রয়েছে। অনেকে ওই ঘটনার পর দলে আর সক্রিয় হননি। আবার কূটনীতিক উইংয়ে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের নিয়েও পরাশক্তি দেশগুলোর আপত্তি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসন এ সব বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মনোভাবকে সম্মান দেখাতে পারেন।

দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, এবার সবচেয়ে দৃষ্টিকটূ লেগেছে কোথাও কোথাও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে শুধু তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া কথা বলা হয়েছে। কোথাও কোথাও খালেদা জিয়াকে গুরুত্বহীনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা দল ও দলের বাইরের নেতাকর্মীদের কাছে এক ভুল বার্তা গেছে বলে নেতারা মনে করেন। এখানে তারেক রহমানের সায় ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই কাজগুলো অতিমাত্রায় করেছেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও তারেকপন্থি বলে পরিচিত নেতাকর্মীরা।

দলের এক নীতিনির্ধারক বলেন, এখানে তারেক রহমানের সায় না থাকলে এসব বিষয়ে দলীয় তদন্ত কমিটি করে সঠিক কারণ বের করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ দলের মধ্যে দুই শীর্ষ নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গ্রুপিং তৈরির কাজ করা হয়েছে। এটা এখনই বন্ধ করা না গেলে দলের চেই অব কমান্ড ঠিক রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে আগামীতে।

ঈদের পরের দিন চেয়ারপারসনের আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে ডেকে কথা বলেছেন খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, খোকনকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি নিজের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছেন খালেদা জিয়া। তাকে তার মামলার বিষয়ে আগের মতো খোঁজখবর রাখতেও বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘ম্যাডাম আমাকে ডেকেছিলেন, আমার সঙ্গে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে।’

ঈদের আগে তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে ডেকে খালেদা জিয়া তার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তার প্রমাণ হিসেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফুল ও ফল নিয়ে যান। তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলিয়ে দেন। ঈদের পরের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি দলের তারেকপন্থিরা। যার কারণে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় প্রাথমিক তালিকায় রাখলেও চূড়ান্ত তালিকায় মান্নাকে রাখা হয়নি।

জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না আমাদের সময়কে বলেন, আমি যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলাম, অনেকে আমার পক্ষে বিবৃতি দিতে ভয় পেয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আমার মুক্তি চেয়ে বেগম জিয়া বক্তব্য দিয়েছেন। সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ দেখিয়েছিলাম। সে অনুযায়ী তিনি আমাকে ডেকেছিলেন, আমি গিয়েছি।

অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাকে টেলিফোনে বিএনপির দিক থেকে বলা হয়েছিলÑ জিয়াউর রহমানের আলোচনায় আপনি আলোচক হিসেবে থাকবেন এবং সিনিয়র কেউ আপনাকে ফোনে আমন্ত্রণ জানাবেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে কেউ ফোন দেননি।

ঈদের দিন স্থায়ী কমিটির নেতাদের ডাকেন খালেদা জিয়া। ওই রাতে নেতারা তার বাসায় গেলে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়েই বেশিরভাগ কথা-বার্তা হয়েছে। এক পর্যায়ে স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র এক সদস্য চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে বিএনপি কোনো ভূমিকা রাখতে না পারায় ক্ষমা চাইতে গেলে তাকে থামিয়ে দেন খালেদা জিয়া। তবে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে স্থায়ী কমিটির এক নেতা খালেদা জিয়াকে বলেন, ম্যাডাম আজ ঈদের একটি দিন, আপনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, দেশবাসীকে তো আপনি ঈদের শুভেচ্ছা দিয়ে থাকেন; এবারও দেওয়া উচিত মনে হয়। তখন খালেদা জিয়া জানতে চান কেন আমার ঈদের শুভেচ্ছ যায়নি? দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা কর। এর পর সেখান থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনাদের মাধ্যমে উনি (খালেদা জিয়া) দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদের পর খালেদা জিয়া ডেকে কথা বলেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গেও।

তবে দলের কিছু নেতা বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া যত দিন বেঁচে থাকবেন তিনি দলের চেয়ারপারসন থাকবেন। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক কর্মকা- পরিচালনায় আরও গতি আনতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভারসাম্য আনতে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের পক্ষে কারও কারও মত।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা মানবিক কারণে স্থগিত করা হয়েছে। নীতিগতভাবে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম করা উচিত না, যেহেতু তিনি এখনো অসুস্থ।

জানা গেছে, দেশে যদি চিকিৎসা শেষ পর্যন্ত সম্ভব না হয়, তা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আদালতের মাধ্যমে অনুমতি নিয়ে বিদেশেও যেতে পারেন খালেদা জিয়া। বিভিন্ন সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব এবং সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ চিকিৎসা নিয়েছেন যুক্তরাজ্যে। গেলে কোন দেশে যাবেন এ সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিবেন। তবে এই মুহূর্তে প্রয়োজন ছাড়া দেশের বাইরে যাওয়ার পক্ষে নন দেশনেত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com