নির্মাতা ও অভিনেতা হুমায়ূন সাধু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে হুমায়ূন সাধু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সাধুকে তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুই সময় দিছিলি আমাদের তৈরি হওয়ার। আমরা হয়তো তৈরিও হইছিলাম। কিন্তু মানুষ বোধ হয় কখনোই প্রিয়জনের বিদায়ের জন্য তৈরি হইতে পারে না রে, সাধু!’
আজ বাদ জুমা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রহিম মেটাল জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে হুমায়ূন সাধুর জানাজা। রহিম মেটাল জামে মসজিদের কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া হুমায়ুন সাধু ঢাকায় এসে এক পর্যায়ে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। পাশাপাশি লিখতেন, অভিনয়ও করতেন। ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন হুমায়ূন সাধু।
নিজের শরীর ছিল খর্বাকার। এই জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়েই লিখেছেন ‘ঊন-মানুষ’ টেলিফিল্মের গল্প। একজন বামন মানুষকে হেয় করা, তাকে নিয়ে সবার তিরস্কার, সমাজে টিকে থাকার কঠিন বাস্তবতা—এসব নিয়েই গল্প। নিজেই অভিনয় করেন সেই চরিত্রে। দারুণ প্রশংসিত হয় টেলিফিল্মটি।
এছাড়া বছর দুই আগে তার অভিনীত ও পরিচালিত ‘চিকন পিনের চার্জার’ নাটকটি ব্যাপক আলোচিত হয়।
২ অক্টোবর শুটিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। মস্তিষ্কে স্ট্রোকের অপারেশনের জন্য ভারতে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় সাধুকে। সেখান থেকে আর ফেরেননি এই নাট্যকার, অভিনেতা।