এ শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিখ্যাত ক্রিকেট সাময়িকী উইজডেন ক্রিকেট মান্থলির নির্বাচিত শতাব্দীর সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটারের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের নাম। ক্রিকেট পরিসংখ্যান বিশ্লেষক সংস্থা ক্রিকভিজের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ বা এমভিপি নির্বাচন করেছে উইজডেন মান্থলি। ওয়ানডে ক্রিকেটে শতাব্দীর দ্বিতীয় সেরা ক্রিকেটার নির্বাচন করা হয়েছে সাকিবকে। শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটে ছয় নম্বরে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্ব তারকা।
তবে টি-টোয়েন্টিতে সেরা ২০-এ জায়গা হয়নি সাকিবের। চলতি মাসে প্রকাশিত ক্রিকেট মান্থলির সংখ্যায় শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটারের তালিকা বের হয়েছে। সেখানে টেস্টের তালিকায় এক নম্বরে আছেন শ্রীলংকার ঘূর্ণি জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরন। ওয়ানডেতে ক্রিকেটের সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বরে জায়গা পান আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান। শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই বিবেচনায় আনা হয়েছে। ম্যাচে খেলোয়াড়রা কতটা প্রভাব ফেলেছেন
কিংবা কতটা খারাপ করেছেন, কতটা অবদান রেখেছেন ইত্যাদি। উইজডেন ক্রিকেট মান্থলি জানায়, সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করেনি তারা। বরং এ সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা ক্রিকেটারদের নির্বাচিত করতে পেরেছেন। সব কিছু বিবেচনায় এনে রেটিং পয়েন্টের ভিত্তিতে শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাব রাখা খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে। টেস্টে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা মুরালিধরন পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৯৭.৫* রেটিং পয়েন্ট। এর পর ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ৯৭.৩, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ৯১.৭, গ্লেন ম্যাকগ্রা ৮৯.৬, দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক ৮৪.৯, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৮৪.২, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ৮৩.৯, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৮৩.৯, অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ৮৩.৩, শেন ওয়ার্ন ৮১.০২ রেটিং পয়েন্ট। অন্যদিকে ওয়ানডেতে এক নম্বরে থাকা ফ্লিনটফের অর্জন ২১.৩ রেটিং পয়েন্ট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ২০.৮। এর পর গ্লেন ম্যাকগ্রা ২০.৬, এবি ডি ভিলিয়ার্স ২০.৪, কেন উইলিয়ামসন ১৯.১, বিরাট কোহলি ১৮.৯, শন পোলক ১৭.১, হাশিম আমলা ১৭.১, অস্ট্রেলিয়ার নাথান ব্রাকেন ১৭.০, জ্যাক ক্যালিস ১৬.৯ রেটিং পয়েন্ট। টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানের পয়েন্ট ৭.১।