মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল সেখানকার নাগরিক নন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আজ বৃহস্পতিবার কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
টুইটে বলা হয়, ‘মানব পাচার ও অর্থ পাচার মামলায় আটক বাংলাদেশি এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের কুয়েতে নাগরিকত্ব নেই। তিনি এ দেশের নাগরিক নন। এ ধরনের তথ্য ভুল। এ ব্যাপারে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর আমরা দেবো।’
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের এমপি পাপুলকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তিনি এ দেশের নাগরিক কিনা। তবে কুয়েত সরকার নিশ্চিত করছে বাংলাদেশি ওই এমপি কুয়েতি নাগরিক নন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতকাল বাংলাদেশের সংসদে দেশটির বিরোধী দল বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে পাপুলের ব্যাপারে কথা বলেন। তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কুয়েতে গ্রেপ্তার কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল সেই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে থাকলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে। এরপর কুয়েত সরকার জানায়, এমপি পাপুলের সে দেশে নাগরিকত্ব নেই।
এর আগে গত বুধবার মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল সম্পর্কে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশ্ন উঠেছে ওই সংসদ সদস্য (পাপুল) নাকি কুয়েতের নাগরিক। সে কুয়েতের নাগরিক কিনা সেটা নিয়ে কুয়েতের সঙ্গে কথা বলছি, বিষয়টা দেখব। যদি এটা হয় তাহলে তার ওই আসনটি (লক্ষ্মীপুর-২) খালি করে দিতে হবে। যেটা আইন আছে, সেটাই হবে। আর তার বিরুদ্ধে এখানেও তদন্ত চলছে।’
সংসদ সদস্য পাপুল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সংসদ সদস্যের কথা বলা হয়েছে, সে কিন্তু স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। সে কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নমিনেশন চেয়েছিল, আমি কিন্তু দেইনি। সে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। গত নির্বাচনে ওই আসনটি জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টির নোমান নমিনেশন পেয়েছিল, কিন্তু সে নির্বাচন করেনি। এ কারণে ওই লোক (পাপুল) জিতে আসে। এরপর আবার তার স্ত্রীকেও যেভাবে হোক বানায় (সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য)। কাজেই তার এমপি হওয়া কিন্তু আমাদের বানানো নয়।’